কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

উন্নত জীবনের জন্য ডিমের বিকল্প নেই

আজ বিশ্ব ডিম দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এগ ফর বেটার লাইফ’। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন পূর্বকোণকে জানান, উন্নত ও সুস্থ জীবনের জন্য ডিমের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন একটি ডিম পুষ্টিময় সারাদিন একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিমে ভিটামিন সি ছাড়া সব উপাদান আছে। তাই সকালে একটি ডিম খেলে সারাদিনের পুষ্টির অভাব দুর হয়। দরিদ্র থেকে ধনী সবার খাদ্য তালিকায় ডিম আছে। অল্প টাকা সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, সাধারণত বছরে প্রতিজনে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। তবে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি না হলেও চাহিদার ৯৫ শতাংশ ডিম স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। একটি ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম।

এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। ডিমে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড়ের জন্য ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অপুষ্টি, রক্তাল্পতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের কথা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা মুরগির ডিম ডায়েটে রাখার কথা বলছেন।

পাঠকের মতামত: